ফিরোজ শাহ, জামালপুর
প্রেমের নামে অভিনয় করে টাকা হাতিয়ে নিয়ে
সৌদি প্রবাসী জামালপুরের যুবক লাভলু মিয়া আপনের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় প্রেমিকা। ভুলতে না পেরে প্রেমের টানে সৌদি আরব থেকে প্রেমিকার বাড়ি ভোলায় ছুটে এসে লাঞ্ছিত হয়ে প্রেমিকার বাড়ীতেই বিষপান করেছেন প্রেমিক জামালপুরের লাভলু ওরুপে আপন (৩০) নামের এক যুবক।
বর্তমানে আপন ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ভোলা সদর হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা মো. মামুন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায় গত ৩ ফেব্রুয়ারী( শুক্রবার) রাতে ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের কন্দকপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত প্রেমিকা বেপারী বাড়ীর সালাউদ্দিন বেপারীর মেয়ে মুন্নী (২৩)।
সে ইলিশা মডেল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। লাভলু ওরুপে আপন জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ৪নং নাংলা ইউনিয়নের দেওলাবাড়ী প্রামানিক পাড়ার লালমিয়ার ছেলে।
ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের দারো খাখাল বাজার সংলগ্ন সালাউদ্দিন মিয়ার মেয়ের সাথে। সৌদিআরব প্রবাসী লাভলু ওরুপে আপনের মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক হয়। তাঁর পর প্রেমিক আপন কে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন প্রেমিকা। টাকা হাতিয়ে নিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন প্রেমিকা। যোগাযোগ বন্ধ করলে সৌদিআরব থেকে চলে আসেন প্রেমিক আপন। এয়ারপোর্ট থেকে ভোলায় এসে প্রেমিকার দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী বাড়ী খুঁজে বের করলে প্রেমিকা খবর পেয়ে পালিয়ে যায় ও লোকবল দিয়ে হেনস্থা করে প্রেমিক কে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
এ ব্যাপারে আপনের বড় ভাই মজনু মিয়া জানান, আমার ভাই থানায়, এই খবর শুনে আমরা ভোলা গিয়ে পুলিশের থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসার পথে আমার ভাই পালিয়ে যায়। আমরা অনেক খুঁজাখুঁজি করে না পেয়ে চলে আসছি। এখন শুনি বিষপান করছে।
মজনু মিয়া আরো বলেন, আমার ভাই প্রবাসে যা ইনকাম করেছে সবই তার প্রেমিকা কে দিয়েছে। এদিকে ওই প্রেমিকা বরগুনার মিন্নী কে ও হার মানিয়েছে বলে মন্তব্য করেছে এলাকাবাসী। রাজাপুরে অভিযুক্ত প্রেমিকার বাসায় গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রেমিকার ভাই সাখাওয়াত হোসেন জানান, আমার বোনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ঠিক আছে তবে এই ছেলে কে আমরা অভিভাবক নিয়ে আসতে বলেছি। অভিভাবক নিয়ে আসবে বলে যাওয়ার পথে আমাদের এলাকার কিছু ছেলে তাকে আটক করে টাকা পয়সা, মোবাইল রেখে দিয়ে পুলিশে দিয়েছে। পুলিশের থেকে কি ভাবে যেন ছাড়া পেয়ে আমাদের বাড়ীর পাশে গিয়ে বিষপান করেছে। সেখান থেকে পুলিশসহ আমরা হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।
এ বিষয়ে ইলিশা ফাঁড়ির ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা বলেন, আমরা প্রথমে এই ছেলে কে হেফাজতে এনে তার ভাইয়ের কাছে দিয়েছি। পরবর্তীতে শুনলাম বিষপান করেছে। এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।