নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার মতিঝিলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রী (২১) কে ধর্ষণের অভিযোগে গত ১৭ জুলাই অভিযুক্ত লুৎফর রহমান (২৮) নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে কে মতিঝিল ও মেলান্দহ থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃত লুৎফর মেলান্দহ উপজেলার পৌর এলাকার পাচুরপাড়ার মোঃ শহীদুল্লার ছেলে। সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী সাহিত্যে মাষ্টার্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষক লুৎফর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ওই ছাত্রীর সাথে ২০২১ সালের অক্টোবরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সঙ্গীতানুষ্ঠানে পরিচয় ও বন্ধুত্ব হয়। এরপর তাদের মধ্যে মন দেওয়া নেওয়া শুরু হয়। যার এক পর্যায়ে ধর্ষক লুৎফর ওই ছাত্রীকে ২০২২ সালের জানুয়ারীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হয়। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে কৌশলে বিভিন্ন বাসা, হোটেল ও রিসোর্ট তাকে ফুসলিয়ে নিয়ে গিয়ে তার সাথে যৌন সঙ্গম করে।
২০২২ সালের জানুয়ারী মাসের প্রথম দিকে সে আমাকে সরাসরি একটি নির্দিষ্ট সময় সীমা পরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবে বলে জানায় এবং তাকে সে তার পরিবারের সম্মতি নিয়ে। বিয়ের প্রস্তাব দেয় ও পরবর্তীতে ২১/০১/২০১২ইং তারিখে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হয়। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে কৌশলে বিভিন্ন বাসা, হোটেল ও রিসোর্ট তাকে ফুসলিয়ে নিয়ে গিয়ে তার সাথে যৌন সঙ্গম করে।
এদিকে ছলনা করে ও হুমকি দিয়ে ওই ছাত্রীর বর্তমান মতিঝিলের বাসায় যেয়ে ধর্ষন করে। ছাত্রী যখন বিয়ের কথা বে তখন বিভিন্ন অজুহাতে ও মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে বিয়ে করবে বলে গড়িমসি করতে থাকে। সর্বশেষ ২০২২ সালের জুন মাসে ওই ছাত্রীর মতিঝিলের বাসায় আনুমানিক রাত ৮ ঘটিকার সময় এসে আবারো ধর্ষন করে ওই ছাত্রী যখনই বিয়ের কথা বলি তখনই সে উত্তেজিত হয়ে তাকে শারিরীক নির্যাতন করে ও গলায় আঘাত করে এই বিষয়টি যদি ওই ছাত্রী কাউকে জানাই বা আইনের আশ্রয় নেই তবে তাকে জানে মেরে ফেলবে ও কখনই বিয়ে করবে না বলে হুমকি দেয় এবং বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর বিষয়টি ধর্ষকের পিতা, মাতা ও তার আপন মামাতো ভাইকে বিষয়টি জানালে আমাকে তারা কোন রকম সাহায্য করতে পারবে না বলে জানায়। এরপর জুন মাসের ২৯ তারিখে আমি ধর্ষককে পূর্ব প্রতিজ্ঞা অনুযায়ী বিয়ে করতে বলে এবং যদি না করে তাহলে আইনের আশ্রয় নিবে বলে জানায় এ শুনে তৎক্ষনাৎ অভিযুক্ত লুৎফর বলে আইনের আশ্রয় নিলে ওই ছাত্রীকে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে হুমকি ধামকি দেয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে মেলান্দহ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম এম ময়নুল ইসলাম।